Kamal Image চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদের সাথে স্থানীয়দের সংঘর্ষ - Dainik Chattagram Live

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদের সাথে স্থানীয়দের সংঘর্ষ


Osman Goni প্রকাশের সময় : অগাস্ট ৩১, ২০২৫, ১২:৪৮ পূর্বাহ্ন /
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদের সাথে স্থানীয়দের সংঘর্ষ

 

মুম্মদ নুরুল আলম রেজা
প্রতিনিধি, আনোয়ারা উপজেলা
দৈনিক চট্টগ্রাম লাইভ সংবাদ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট এলাকায় স্থানীয়দের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয়দের লাঠি ও দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে ৩২ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ১৫ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।দেরিতে ভবনে প্রবেশ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের এক ছাত্রীকে মারধরের ঘটনায় এ পরিস্থিতি তৈরি হয় বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।

প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, ওই ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেটের কাছে একটি ভবনে ভাড়া থাকেন। রাত সোয়া ১১টার দিকে তিনি ভবনে প্রবেশের চেষ্টা করলে ভবনের দারোয়ানের সাথে তর্কাতর্কির একপর্যায়ে দারোয়ান তাকে মারধর করেন। এ সময় ২ নম্বর গেটে থাকা শিক্ষার্থীরা দারোয়ানকে ধরতে গেলে তিনি পালিয়ে যান। শিক্ষার্থীরা তাকে ধাওয়া করলে স্থানীয়রা ইট–পাটকেল মারা শুরু করেন।
এসময় আইন বিভাগের ২০ থেকে ২১ শিক্ষাবর্ষের ইমতিয়াজ আহত হন। এরপর উভয়ের মাঝে সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।


জানা যায়, স্থানীয়দের হামলায় ৩২ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের নেতা আল মাসনূনও রয়েছেন। এরমধ্যে চিকিৎসার জন্য ১৫ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়। এদিকে আহতদেরকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেলে নিয়ে গেলে সেখানে অক্সিজেন সংকট দেখা দেয়।

প্রক্টরের পদত্যাগ দাবিতে ছাত্রদলের অবস্থান, চাকসু বানচালের অভিযোগে শিবিরের মিছিল

দর্শন বিভাগের ২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমি প্রতিদিন সময় মতো বাসায় আসি। আজকেও ১২টার মধ্যে চলে আসি। দারোয়ানকে দরজা খুলতে বললে তিনি খুলছিলেন না। পরে জোরে ডাক দিলে তিনি অকথ্য ভাষায় কথা বলেন। আমি জবাব দিতে গেলে হঠাৎ আমাকে চড় মারেন। সঙ্গে সঙ্গে আমার রুমমেটরা নামলে তিনি আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন এবং লাথি মারতে থাকেন। এরপর আমার রুমমেট ও আশপাশের স্থানীয়রা এগিয়ে আসেন।

মাইকে ঘোষণা দিয়ে সংঘর্ষে জড়ালেন চবি শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা, আহত অন্তত ৫০

পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি।

পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ নিজের ফেসবুক একাউন্ট থেকে পোস্ট দিয়ে বলেন, সবার কাছে আহ্বান জানাচ্ছি যে, যেভাবে পারেন আমাদেরকে একটু সহযোগিতা করেন। দুই নাম্বারে আমাদের শিক্ষার্থীদের সাথে এলাকাবাসীর সংঘর্ষে প্রচুর শিক্ষার্থী আহত।

শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত কমপক্ষে ৩০
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট এলাকায় স্থানীয়দের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

সহকারি প্রক্টর কুরবান আলী স্যার, নাজমুল স্যার ও নিরাপত্তা প্রধান রহিম ভাই আহত হন। নিরাপত্তা বাহিনীর অধিকাংশ সদস্য আহত। প্রক্টোরিয়াল বডির গাড়ি, পুলিশের টহলগাড়ি এবং বিশ্ববিদ্যালয় গাড়ি ভেঙে ফেলেছে। আমরা অতিরিক্ত পুলিশ চেয়েছি, যেটা পুলিশের গাড়িতে হামলা হওয়ায় সময়মতো আসেনি। ইতিমধ্যে সেনাবাহিনীর সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। দয়া করে সবাই যার যার অবস্থান হতে সহযোগিতা করুন, বিশেষ করে হাঙ্গামা যেন নিভৃত করা যায়। এমনকি আপনাদেরও বিভিন্ন সরকারি পক্ষের সাথে যোগাযোগ থাকলে প্লিজ সহযোগিতা করুন বলেও জানান তিনি।

পরবর্তীতে সেনাবাহিনীকে খবর দিলে রাত ৩টা ২০ মিনিটে সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে।