=========
নিজস্ব প্রতিবেদক :দৈনিক চট্টগ্রাম লাইভ
সীতাকুণ্ড
প্রতিনিধিঃ
সাজেদা বেগম (২৪) পিতা-মৃত বদিউল আলম, সাং- মধ্যম বাঁশবাড়ীয়া,৫নং ওয়ার্ড,৬নং বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়ন।
স্বামী- মোঃ দিদার হোসেন (২৩),পিতা- আব্দুল কাদের, মাতা খুরশিদা বেগম, সাং শীতলপুর, ফুলতলা (মুন্সী মিয়ার বাড়ি প্রকাশ আব্দুল কাদেরের বাড়ি), ৫নং ওয়ার্ড,৮নং সোনাইছড়ি ইউনিয়ন, থানা সীতাকুণ্ড জেলা চট্টগ্রাম। দুজনের বিয়ে হয় ফেব্রুয়ারি মাসের ০৯ তারিখ ২০২৪ সালে আকদ হয়,এর পর থেকেই দিদার যৌতুক দাবী করে আসছে।একলক্ষ টাকা দেয়ার পর স্বামী দিদার বিয়ের নয় মাস পর স্ত্রীকে বাড়িতে নিয়ে যায়। কিন্তু দুঃখের বিষয়, বিয়ের পর থেকে স্বামী দিদার বাপের বাড়িতে থাকা অবস্থায় স্ত্রী কে কোন ভরণ পোষণ দেয়নি এবং কোন যোগাযোগ করেনি।
স্বামী দিদার মাজেদাকে শ্বশুর বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পর থেকে শুধু খাওয়া দাওয়া ছাড়া আর কোন চাহিদা পূরণ করেনি বরং উল্টো আরো টাকা আনার জন্য স্ত্রী মাজেদাকে নির্যাতন করতো।সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাবে ২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার এক নির্যাতিত স্ত্রী মাজেদা সংবাদ সম্মেলনে আরো জানায়, এইভাবে চলা অবস্থায় গত রমজান (২৫) থেকে আমার স্বামী টিকটকে একটি মেয়ের সাথে পরিচয় হয় যার নাম রিপা মনি (২৬), বাড়ি চট্টগ্রাম জেলার আগ্রাবাদে। এরপর থেকে সে রিপা মনি’র সাথে
পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। এতে আমি তাকে বুঝাইতে চাইলে সে আমাকে মারধর শুরু করে এবং সে আমাকে বলে এসব মেনে থাকতে পারলে থাক না থাকলে তুই তোর রাস্তা ধর। আমি উপায়ান্তর না দেখে রিপা মনিকে ফোন করে বুঝানোর চেষ্টা করলে সে বলে আমি তাকে বিয়ে করবোই তুমি পারলে কিছু করো।রমজানের একদিন রাতের দেড়টায় আমার স্বামী আমাকে মারধর শুরু করলে আমি চিৎকার দিয়ে আমার ননষ (জুলি আক্তার)কে ডাক দিলে সে আমার গলা টিপে ধরে। সে আমাকে আমার বাপের বাড়ি থেকে তুলে আনার পর থেকে এমন দিন যায়নি তার মার খাইনি এবং আমার শ্বশুরকে (আব্দুল কাদের) বললে তিনি ছেলেকে বকা ছকা না দিয়ে উল্টো আমাকে ভৎসনা করেন। আরো বলেন, সে যেখানেই যাক বাড়িতে চলে আসে তো।এমনকি আমার ননসও (জুলি আক্তার) বলে ভাইয়া কি কোন মেয়ের সাথে চলে যাচ্ছে। তাদের কারণে এবং পরকিয়া রিপা মনির কারণে আজ আমাকে অসুস্থ করে তুলেছে এবং আমার জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে।
আমি আমার স্বামীকে এই পরকীয়া থেকে ফিরে আসার দাবী জানাই ও টিকটকার রিপা মনিকে সরে যেতে আহবান জানাই,তানাহলে আমি এদের কঠোর বিচার দাবী জানাচ্ছি।
বর্তমানেও আমার স্বামী দিদার টিকটকার রিপা কে নিয়ে কক্সবাজারে আছে জানতে পারি।
আমার স্বামী দিদার আবুল খায়ের কোম্পানীর চোরাই লোহা কিনে ব্যবসা করে,তার এখন ভাল ইনকাম। তাই একাধিক পরকীয়া করে টাকা খরচ করছে।তার মা,বাবাও তাকে সহযোগীতা করছে আমার কাছে ৫ লাখ টাকা যৌতুক চেয়ে না পেয়ে। আমার বাবার বাড়ী থেকে একলাখ দিয়েছে আর টাকা দেয়ার সামর্থ নেই, তাই আমি সাংবাদিকদের মাধ্যমে বিচার চাইছি।
এদিকে মাজেদার স্বামী দিদার হোসেনের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,
রিপার সাথে যোগাযোগ সম্পর্ক আমার স্ত্রী মেনে নিতে পারছেনা,আমিতো তাকে ছেড়ে দেইনি।যৌতুক চাইনি,মারধর করিনি,তবে কিছু ঝগড়া হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :