Kamal Image ইতিহাস বিকৃতির প্রতিবাদ ও সঠিক তথ্য ,,,,,, - Dainik Chattagram Live

ইতিহাস বিকৃতির প্রতিবাদ ও সঠিক তথ্য ,,,,,,


Osman Goni প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ৬, ২০২৫, ৪:২৭ পূর্বাহ্ন /
ইতিহাস বিকৃতির প্রতিবাদ ও সঠিক তথ্য ,,,,,,

লেখক মোহাম্মদ কাইয়ুম চৌধুরী

সাধারণ সম্পাদক সীতাকুন্ডু প্রেসক্লাব
,,,,,,
সীতাকুন্ড প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতার ইতিহাস সম্পর্কে দৈনিক আজাদীর চীফ রিপোর্টার ও প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সাধারন সম্পাদকের সত্য তথ্য এবং আমি প্রতিষ্ঠাতা সদস্যের একমত পোষনে কিছু বাস্তব কথা।
প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান দৈনিক আজাদীর চীফ রিপোর্টার হাসান আকবর ভাইয়ের প্রেরিত সীতাকুন্ড প্রেসক্লাবের সভাপতি,সাধারণ সম্পাদকের উদ্দেশ্যে ক্লাবের ম্যাসেন্জার থেকে প্রাপ্ত বক্তব্য হুবাহুব,,,,,,,
তোমাদের তথ্য ঠিক নয়। মাহমুদুল হক সীতাকুণ্ড প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য নন, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। তার আগে সীতাকুণ্ডে প্রেস ক্লাবের কোন ধারণা ছিল না। বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি সীতাকুণ্ড শাখার প্রতিষ্ঠাতাও তিনি।
সীতাকুণ্ডে সাংবাদিকতার জনক আবদুল আজীজ মাহফুজ ভাই। আমরা সবাই উনার হাত ধরে সাংবাদিকতা শুরু করি। আশির দশকের শেষ দিকে। সবই হতো মাহফুজ ভাইর বাসা এবং পরবর্তিতে সাপ্তাহিক গিরি সৈকতের অফিসে।
কিন্তু মাহমুদুল হক রাঙ্গুনিয়া থেকে সীতাকুণ্ডে গিয়ে আমাদের খোঁজে খোঁজে বের করেন। দল মতের উর্ধে উঠে আমরা বিভিন্ন পত্রিকার প্রতিনিধিদের নিয়ে তিনি একটি প্রেস ক্লাব করেন। সেটিই সীতাকুণ্ডে প্রথম প্রেস ক্লাব।
এর প্রায় ছয় মাস পরে মাহফুজ ভাই আলাদা করে আবার প্রেস ক্লাব করেন।
সেই বিরোধের শুরু। থানা পুলিশ হামলা বহু কিছু হলো। এতদিন পরে এসে দেখছি ইতিহাস বিকৃতিও ঘটে গেছে।
সরি।
এমনিতে বললাম। বিষয়টিতে কিছু হয়তো কারো আসবে যাবে না। মাহফুজ ভাই অসুস্থ। মুন্সিগঞ্জে পড়ে আছেন। স্ত্রী সন্তান কেউ নেই বললেই চলে। দিন কাটে নানা বঞ্চনায়। মাহমুদুল হক মরে গেছে।
আমরাও যাওয়ার পথে। তবে সীতাকুণ্ডের সাংবাদিকতার যে গোড়াপত্তন তা মাহফুজ ভাইর হাত ধরে, আর প্রেস ক্লাব মাহমুদুল হকের মাধ্যমে। কেউ স্বীকার করুক বা না করুক, সীতাকুণ্ডের সাংবাদিকতার আজকের যে জৌলুশ তার গোড়াপত্তনে অনেকেরই রক্ত ঘাম রয়েছে। তাদের স্বীকৃতি দিতে না পারো সমস্যা নেই, কিন্তু অবহেলা করো না।
প্রকৃত ইতিহাস খুঁজে বের কর। বেশিদিন আগের কথা তো নয়। নির্মোহভাবে খুঁজলে প্রকৃত ইতিহাস পেয়ে যাবে।###
আমি প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আব্দুল্লাহ আল কাইয়ুম চৌধুরীর কিছু সঠিক ইতিহাস,সীতাকুন্ড প্রেসক্লাব এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হলেন মরহুম মাহমুদুল হক সাহেব।তিনিই ১৯৮৯ সালে সীতাকুন্ডে কর্মরত সকল সাংবাদিকদের কে নিয়ে একটি সভা করেন,এরপর তিনি মাহমুদুল হক সভাপতি, হাসান আকবর ভাই সাধারণ সম্পাদক করে ১১ সদস্য একটি কমিটি গঠন করেন,এতে বর্তমানে অনেক বর্নাঢ্য সাংবাদিকগন সদস্য ছিলেন।এরপর বর্নালী ক্লাবে ঝাঁকজমকভাবে অভিষেক অনুষ্ঠিত হলো। কিছুদিন যেতেই তৎকারীন খাদ্যকুন্জ রেস্তোরাঁয় মাহফুজ ভাইয়ের নেতৃত্বে দফায় দফায় মিটিং শুরু হয়,এক পর্যায়ে মাহফুজ ভাই সভাপতি করে ১১ সদস্য বিশিষ্ট এক টি কমিটি ঘোষনা করেন।এতে সীতাকুন্ডের সাংবাদিকতার পরিবেশ নষ্ট হয়ে যায়,এর পর প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহমুদুল হক ভাই চট্টগ্রাম সহকারী জজ আদালতে এই অবৈধ কমিটির বিরুদ্ধে মামলা করেন।মামলা কয়েক তারিখ যাওয়ার পর শুনানিতে মাহফুজ ভাই গং আদালতে বন্ড দিয়ে মামলা থেকে মুক্ত পান এবং আর কখনো প্রেসক্লাব করবেননা বলে অঙ্গীকার করেন।সেদিন থেকেই ঐ অবৈধ প্রেসক্লাব বিলুপ্ত হয়ে যায়।একপর অনেকেই মাহমুদুল হক ভাইয়ের নেতৃত্বে ক্লাবে যোগদান করেন,এরমধ্যে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক লিটন চৌধুরী ও যোগদান করেন। যা এখন প্রযন্ত চলমান।এই হল প্রেসক্লাবের সঠিক ইতিহাস।
কিন্তু অতিসম্প্রতি প্রেসক্লাব একটি ম্যাগাজিন ‘ উৎস’ বের হয়,এতে সীতাকুন্ড প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাকালীন কমিটি বিতর্কিতভাবে প্রকাশিত হয়।
যা জনমনে নানান প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।অনেক প্রবীন ক্লাব প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য এর লেখা
গুলো থেকে প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাহমুদুল হক এর নাম বাদ দিয়ে প্রতিষ্ঠাতা সদস্য উল্লেখ করেছেন,যা ইতিহাস বিকৃতির শামিল। কাকে খুশি করতে এই ইতিহাস বিকৃতি করা হল আমি বোধগম্য নয়।তবে একজন এই মিথ্যা ইতিহাস নিয়ে সব সময় চেচামেচি করতে দেখি,কিন্তু দায়িত্বশীল ক্লাব কর্মকর্তার কাছে আশা করিনি,অভিলম্বে প্রবীন সাংবাদিকদের দেয়া লেখাগুলো হুবাহুব লেখার জন্য বিতর্কিত লেখা বাদ দেয়ার জন্য ক্লাবের ম্যাগাজিন প্রকাশনা কমিটিক কাছে অনুরোধ করছি।
###
আব্দুল্লাহ আল কাইয়ুম চৌধুরী
সাবেক সাধারণ সম্পাদক
সীতাকুন্ড প্রেসক্লাব।
২৩/০৩/২০২৩ ইং